এক হৃদয়স্পর্শী কাহিনী





গ্রামের শান্ত পরিবেশে বড় হওয়া এক ছোট্ট মেয়ের গল্প এটি। নাম ছিল শিরীনা। তার বয়স যখন মাত্র ১৮ বছর, তখন থেকেই সে তার গ্রামে একজন যুবকের প্রতি আগ্রহ অনুভব করতে শুরু করেছিল। যুবকের নাম ছিল সেলিম। সেলিম ছিল একদম সাধারণ একজন ছেলে, কিন্তু তার চোখে ছিল এক অদ্ভুত নরমতা, যা শিরীনাকে অবাক করত।

শিরীনা ও সেলিমের বাড়ি একে অপরের পাশে। তারা একে অপরকে জানতো, কিন্তু কখনো বিশেষ কিছু হয়নি। গ্রামের ছোট ছোট রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে তাদের চোখ একে অপরের সাথে মিশে যেত, তবে কেউ কোনো কথা বলতো না।

একদিন শিরীনা ও সেলিম একটি অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। সেখানে, একে অপরকে আরো ভালোভাবে জানার সুযোগ পায় তারা। সেলিম তার জীবনের কঠিন সংগ্রামের কথা শিরীনার কাছে শেয়ার করে। শিরীনা জানতে পারে যে সেলিম তার পিতাকে হারিয়ে ছোট থেকেই একা বড় হয়েছে এবং নিজের জীবনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।

এরপর থেকেই শিরীনা ও সেলিমের মধ্যে এক নতুন সম্পর্কের শুরু হয়। তারা একে অপরকে আরো গভীরভাবে বুঝতে থাকে এবং শিরীনা বুঝতে পারে, সেলিমের নিঃসঙ্গতার মধ্যে একটি পরিশ্রমী হৃদয় বাস করে।



গ্রামের সেই ছোট্টো অনুষ্ঠানটির পর, তারা একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে গ্রামের সুন্দর পরিপূর্ণ জীবনযাত্রার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। শিরীনার ভালোবাসা সেলিমের প্রতি দিন দিন আরো দৃঢ় হতে থাকে। তাদের মাঝে যেহেতু কোনো বড় বাধা ছিল না, তাই তারা একে অপরকে ভালোবাসা ও সহানুভূতির মাধ্যমে একে অপরকে পরিপূর্ন করে তোলে।

এটা ছিল এক আদর্শ গ্রাম্য ভালোবাসার কাহিনী, যেখানে দুই সাধারণ মানুষ একে অপরকে ভালোবাসার মাধ্যমে নিজেদের জীবনের সেরা মুহূর্তগুলি কাটায়।


 

Post a Comment

0 Comments