ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, নাকি নতুন কমলার গল্প?
কে হচ্ছেন হোয়াইট হাউসের পরবর্তী বাসিন্দা, তার উত্তর পেতে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। ৫ নভেম্বর মঙ্গলবারের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব। জরিপের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস বা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারও জন্যই নির্দিষ্ট বিজয়ের আশ্বাস নেই, বরং আভাস মিলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের।
প্রশ্ন এখন, কে হাসবেন শেষ হাসি? কমালা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হয়ে রচনা করবেন নতুন ইতিহাস, নাকি ট্রাম্পের ফিরে আসা দিয়ে ঘটবে পুরনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি? এই প্রশ্নের উত্তর জানার অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। জরিপে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস থাকলেও, ইলেক্টোরাল ভোটই হতে যাচ্ছে মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
এর আগে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে জনমত জরিপগুলো বলেছিল যে হিলারি ক্লিনটন ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন। যদিও পপুলার ভোটে ৩০ লাখ ভোটে এগিয়ে ছিলেন হিলারি, তবে ইলেক্টোরাল কলেজের নিয়মে প্রেসিডেন্ট হন ট্রাম্প।
তাই এবারও ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে বিশেষ আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি প্রদেশ থেকে ৫৩৮ জন ইলেক্টর ভোট দেবেন, যার মধ্যে প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজন ২৭০ ভোট। এই ইলেক্টোরাল সিস্টেমের হিসাব–নিকাশকেই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করা হচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোটার অর্থনীতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। পাশাপাশি, ১৪ শতাংশ ভোটার অভিবাসন এবং গণতন্ত্রের হুমকি নিয়ে উদ্বিগ্ন। গর্ভপাতের অধিকার এবং স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন যথাক্রমে ৭ ও ৬ শতাংশ ভোটার।
0 Comments