ভালোবাসার তিন কোণা
তিশা সদ্য ঢাকা শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছে। নতুন শহরের ভিড়ভাট্টা আর অজানা পথে হাঁটতে হাঁটতে তার মনে হয়, ঢাকার প্রতিটা দিনই যেন নতুন অভিজ্ঞতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে সে দুজন ছেলের সাথে পরিচিত হয়—আরিফ এবং শুভ। দুজনেরই জীবনযাত্রা আলাদা, কিন্তু দুজনেই তিশার প্রতি দুর্বল।
আরিফ একজন শান্ত, সৎ এবং পরিশ্রমী ছেলে। সে খুব সাধারণ এক পরিবার থেকে উঠে এসেছে, ভবিষ্যৎটা গড়ার জন্য কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাসী। তার স্বভাব যেমনই হোক, তিশার জন্য সে মনের অজান্তেই অনেক কিছু করে ফেলে, যেটা তিশা অনেক সময় টেরও পায় না। আরিফের মনে তার প্রতি গভীর ভালোবাসা জন্ম নেয়, কিন্তু সেটা সে মুখ ফুটে বলার সাহস পায় না।
অন্যদিকে, শুভ একেবারেই ভিন্ন ধরনের। সে আনন্দপ্রিয়, মজার মানুষ, এবং রোমাঞ্চপ্রিয়। এক সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে উঠে আসা শুভ তিশার সাথে দ্রুতই ভালো বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। তারা একসাথে ঘুরতে যায়, হাসি-আনন্দে মেতে থাকে, আর শুভ তিশাকে নিজের অনুভূতির কথা বারবার প্রকাশ করে।
তিশা পড়ে যায় এক দোটানায়। আরিফের মধ্যে সে পায় নির্ভরতার ছোঁয়া, যে তাকে সবসময় আগলে রাখে। আবার শুভর সাথে কাটানো সময়গুলো তাকে জীবনের খুঁটিনাটি উপভোগ করতে শেখায়। দুজনের প্রতি দু’রকম অনুভূতি তাকে বিভ্রান্তিতে ফেলে।
গল্পের শেষে তিশা নিজের অনুভূতিকে বুঝতে শিখে, জীবনকে সহজ-সরলভাবে দেখতে শেখে। তিশা কি আরিফকে বেছে নেবে, নাকি শুভর হাত ধরবে—এই দ্বিধা থেকেই সে বুঝে যায়, জীবনটা আসলে শুধুই প্রিয় মানুষের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো উপভোগের।
নৈতিক শিক্ষা: ভালোবাসা কখনোই সঠিক বা ভুল মানুষকে খোঁজার বিষয় নয়, বরং নিজেকে জানা আর সেই পথে হাঁটা, যেখানে নিজের প্রকৃত সুখটা মেলে।
0 Comments