অতীতের ছোঁয়া

 

 


 

মেহজাবিন, গ্রামের এক দরিদ্র মেয়ে, তার নিজের পড়াশোনা আর পরিবারের দায়িত্বের মাঝে বড় হয়েছে। জীবনের অভাব-অনটন দেখে বড় হওয়া মেহজাবিনের স্বপ্ন ছিলো একদিন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। কিন্তু বাস্তবতার সীমাবদ্ধতায় পড়ে সে বারবার থমকে যায়। পরিবারের বোঝা আর জীবনের সংগ্রাম তাকে মাঝে মাঝে কষ্ট দেয়, তবু সে কখনো হাল ছাড়েনি।

একদিন এক আত্মীয়ের বিয়েতে ঢাকা শহরে আসে মেহজাবিন। সেখানে তার পরিচয় হয় রাশেদের সাথে। রাশেদ বড়লোক পরিবারের ছেলে, শহরে তার বাবা-মার অনেক সম্পত্তি আর নামকরা ব্যবসা। মেহজাবিনের সরলতা আর বিনয় রাশেদের মনে এক আলাদা ছাপ ফেলে। তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, আর সেই বন্ধুত্বই একসময় গভীর ভালোবাসায় পরিণত হয়।

কিন্তু সমাজের বাধা, দুই পরিবারের পার্থক্য তাদের সম্পর্কের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। রাশেদের বাবা-মা কিছুতেই মেহজাবিনকে মেনে নিতে চায় না। তারা বারবার রাশেদকে মেহজাবিনের থেকে দূরে থাকার জন্য চাপ দেয়, তবে রাশেদ তার ভালোবাসার জন্য লড়াই করতে চায়। মেহজাবিনও এই পরিস্থিতির মাঝে পড়ে এক ধরনের দোটানায় ভুগতে থাকে। সে জানে রাশেদের জন্য এই লড়াই করা কঠিন, আর তার জন্য রাশেদের পরিবারকে আঘাত করতে চায় না।

 

অনেক বাধা, অশ্রু, আর কষ্টের পরে মেহজাবিন নিজেই সিদ্ধান্ত নেয় রাশেদের জীবন থেকে সরে যাওয়ার। সে জানে, তাদের ভালোবাসা গভীর হলেও সমাজের বাস্তবতা তাদের মেনে নেবে না। মেহজাবিন নিজের গ্রামে ফিরে আসে, তার স্মৃতিতে রাশেদের সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত থেকে যায়। রাশেদও মেহজাবিনকে ভুলতে পারে না, কিন্তু সে বুঝতে পারে মেহজাবিনের ত্যাগের মূল্য।

মোরাল: ভালোবাসা সবসময় কাছে পাওয়ার নয়, কখনো কখনো ত্যাগের মাধ্যমে অন্যের সুখ নিশ্চিত করাও ভালোবাসার এক গুরুত্বপূর্ণ রূপ।

 


Post a Comment

0 Comments