বাংলাদেশের জন্য টি-টোয়েন্টিতে সম্ভাবনার কারণসমূহ

 


দুঃস্বপ্নের মতো টেস্ট সিরিজের পর টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় পাওয়ার আশার কথা জানিয়েছেন। সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “এই সিরিজে আমাদের খেলোয়াড়রা নতুনভাবে খেলতে চাচ্ছে। সবাই জয়ের জন্য মাঠে নামবে।”

অন্যদিকে, রোহিত এবং কোহলির মতো তারকা ক্রিকেটারদের অবসরের পর ভারতের টি-টোয়েন্টি দল বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে তারা অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞ ও দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে খেলবে। ঘরের মাঠে তরুণদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার এই সিরিজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সূর্যকুমার যাদব।


অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের তুলনায় এগিয়ে আছে ভারত। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সিরিজে বাংলাদেশ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের মোট ম্যাচের সংখ্যা ৬৪৪, যেখানে ভারতের মাত্র ৩৮৯। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোহলি, রোহিত এবং জাদেজা সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন, তাই তারা বাংলাদেশ সিরিজে নেই।

ঋষভ পান্ত, শুভমান গিল এবং জসপ্রীত বুমরাহকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে, ফলে ভারতের স্কোয়াডে অভিজ্ঞতার দিক থেকে মাত্র সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পাণ্ডিয়া ও আর্শদীপ সিং রয়েছেন।

বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানালেও, দলের অভিজ্ঞতা রয়েছে। টাইগারদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সবচেয়ে অভিজ্ঞ, তিনি এখন পর্যন্ত ১৩৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। শান্ত, তাসকিন, মুস্তাফিজ ও লিটনের মতো ক্রিকেটারদেরও ম্যাচ সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি।


দুই দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই টেস্ট সিরিজে অংশ নিয়েছে, তবে ভারতের টেস্ট দলের কোনো খেলোয়াড়কে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে রাখা হয়নি। যদিও বাংলাদেশ অভিজ্ঞতায় এগিয়ে, দক্ষতা ও পারফরম্যান্সের দিক থেকে ভারতের দলটি শক্তিশালী। আইপিএলের কারণে ভারতীয় ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভ্যস্ত, ফলে তাদের নতুন প্রজন্ম যেকোনো দলের জন্য হুমকি হতে পারে।

এখন দেখার বিষয়, তরুণ ভারতীয় দল নাকি অভিজ্ঞ বাংলাদেশ কার জয়ী হয়!

দুই দলের জন্য অচেনা মাঠ

বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির মাধ্যমে গোয়ালিওরের নতুন শ্রীমান্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামের আন্তর্জাতিক অভিষেক হচ্ছে। ১৪ বছর আগে এখানে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে শচীন টেন্ডুলকার প্রথমবারের মতো একদিনের ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন।

গোয়ালিওরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরলেও নতুন এই স্টেডিয়াম বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য অচেনা। দর্শকদের চাপ বাংলাদেশের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কানপুরে সিরিজের শেষ টেস্টেও দর্শকের সংখ্যা ছিল বিপুল, তাই আজকের খেলায় গ্যালারি পূর্ণ থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

এদিকে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গোয়ালিওরের ম্যাচ বয়কটের ডাক দিয়েছে উগ্রপন্থী একটি সংগঠন। যদিও প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। তবে গ্যালারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে স্লোগান বেশি তীব্র হতে পারে। বাংলাদেশকে জিততে হলে শুধু প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদের নয়, গ্যালারির চাপও সামলাতে হবে।

Post a Comment

0 Comments